, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


স্ত্রীর প্রচারণায় অংশ নেয়া সেই অতিরিক্ত কমিশনারকে বরখাস্তের অনুমতি

  • আপলোড সময় : ০৪-০১-২০২৪ ১২:৩৪:১২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০১-২০২৪ ১২:৩৪:১২ অপরাহ্ন
স্ত্রীর প্রচারণায় অংশ নেয়া সেই অতিরিক্ত কমিশনারকে বরখাস্তের অনুমতি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) হামিদুল আলমকে সাময়িক বরখাস্তের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাশাপাশি তাকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করার বিষয়েও বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার ৩ জানুয়ারি ইসির উপ-সচিব মিজানুর রহমানের সই করা এক চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এ বিষয়ে জানানো হয়।

এদিকে ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অতিরিক্ত কমিশনার হামিদুল আলমকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করার বিষয়ে অনাপত্তির অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রস্তাবিত কর্মস্থলে সংযুক্ত করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনাপত্তি দিয়েছে।
 
এর আগে স্ত্রীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে হামিদুল আলমকে তলব করে নোটিশ দিয়েছিলেন বগুড়া-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শাহনাজ পারভীন।
 
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘২ জানুয়ারি দৈনিক বগুড়া অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়, আপনি হামিদুল হক মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন। আপনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির স্বামী। চাকরি থেকে একমাসের ছুটি নিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এলাকায় এসে স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।’
 
এছাড়া আপনার প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো নির্বাচনী এলাকা বিপর্যস্ত করে রেখেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। যা আপনার পেশাগত আসাদাচরণের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০০৮ এর ১৪ (১) (২) নম্বর বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

‘এ অবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশ করা হবে না তা ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব/ ব্যাখ্যার নির্দেশ দেয়া হলো।’
 
এদিকে তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৮ ডিসেম্বর। সে দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এ প্রচারণা চালানো যাবে। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ইসি জানায়, ২৮ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সর্বশেষ সংবাদ